লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আলু চাষের জন্য উপযোগী ও উর্বর মাটি হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আলু আবাদে ফলন ভালো হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
এছাড়াও আলু বীজ, সার ও কীটনাশক ঔষধের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় লালমনিরহাটের কৃষকেরা মহা খুশি।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের আলু চাষী মোঃ হযরত আলীসহ একাধিক কৃষক জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সরকার কর্তৃক আলুর বীজ, সার ও ঔষুধসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়ায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় আলু চাষ কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় ফসল হয়ে উঠেছে। এ বছর আলুর খেতে রোগ বালাই কম ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লালমনিরহাট জেলায় এবার আলুর বাম্পার ফলন হবে।
চলতি বছর জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ জেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬হাজার ৩শত হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন।
এদিকে লালমনিরহাটের হাট-বাজারে আগাম জাতের নতুন আলু পাওয়া গেলেও প্রতি কেজি আলু ৭০ থেকে ৭৫টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও আলুর বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকরা আশাবাদী।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ হামিদুর রহমান বলেন, বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু হয়েছে। চলতি বছর অনূকুল আবহাওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন ও চড়া দাম পেয়ে কৃষক পরিবারে সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।